আমি এক গেঁয়ো বাজিকর
*
মেট্রোপলিটনের নেকড়েরা আছে রেসে
রেসের পাশে বসে লাগিয়েছি বাজি আর
কাজী বেঁধে রেখেছি তার পাশে
আমাকে জিততে হবে এমন নয়
তবে কাজী যেনো বিপক্ষ দলের পক্ষ না নিতে
পারে
অর্থাৎ তার নিরপক্ষতা সততারে আমি চুদবো না
অ
*
বেঁচে থাকার এই যে বিদির্ণ ললিতকলা!
প্রতিদিন খুন হই ভেতরে ভেতর। আহত পাখি জানে ডানা ভেঙে গেছে তার। কে তাকে রক্ষা
করবে করুন একাকিত্ব থেকে? বিড়াল ও কুকুর আর দুষ্ট বালকের হাত থেকে কে তাকে বাঁচাবে বলো?
ক্ষুধার নিরীহ ছুরি। সারাবেলা মৈথুন করে, প্ররোচিত
হয়। নিম ফলের মতো পড়ে আছি গাছের তলায়। গাছ হবো? কাঠুরিয়া, কাঠঠোকরার অত্যাচারে বিবর্ণতা দেখেছি।
কুড়ালের হাতলের আতাত দেখে আতকে উঠি। উহ্
তুমি কি বাঁচাবে এই মৃত আত্মাকে
গানের সুরে যে চারা দোলায় কচি পাতা
গাছ হবে, ফুল ও ফল হবে, পাখিদের
আশ্রয় হবে
এতো স্বপ্ন দেখে যে
তারে কি রোপন করবে হৃদয়ের ভূমিতে
রোদের উত্তাপ থেকে
খরা থেকে
ঝড় ও প্লাবণ থেকে
শ্বাস কষ্ট থেকে যে তোমাকে পরিত্রাণ দিতে
পারে
তুমি কি রোপন করবে না এমন গাছ
তরুলতার জঞ্জালে নাচে কতো যে নাম না জানা
প্রাণ
তুমি কি বাঁচাবে আমাকে
২ জুলাই ২৩
*
কবিতা লেখা, পড়ার রেখে হাত মারো
হস্তক্ষেপ মন্ত্রনালয় থেকে নাও বরাদ্দ
সফরে যাও প্রশিক্ষণ নিতে
পয়সা ও প্রস্রাব, সঞ্চয়
করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়
যত্রতত্র ফেলে দেওয়াও না।
গান> অস্ত্র; সর্বত্রই
বিনাশের বেহালাবাদক
নদীরাঙা সুরের ফলায়
বিচূর্ণ পাড়, ঘাট মাঠ
কবি; চিল ও শকুন
কাক ও পেঁচা
ফিঙে ও চড়ুই
ঝাঁক বেঁধে নাচে
অতিথি লেখক
পালক খসে পড়া বয়লার
কবিতা লেখার থেকে ডুবে মরা ভালো!
কয়লা চোর হওয়া আরও ভালো
নিজেকে যে পারেনি অযোগ্য করে তুলতে
হাস্যকর করে যে উপস্থাপন করেনি নিজেকে
মৃত পাথর যেনো—যে লুকাতে পারেনি একান্ত
উপস্থিতি
১৫ জুলাই ২৩
*
প্রতিদিন কবরের পাশ দিয়ে যাই-আসি
ভাড়ার অভাবে ঢুকতে পারি না
কাফন ইমপোর্টার বসে আছে ব্যাংক কর্তার
কলমের পাশে। দূরবীণে দেখি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমে আছে ঋণ, নথিপত্র
খাচ্ছে উইপোকা। রেটিম্যেন্স, রিজার্ভ যাচ্ছে সুইস খালে, কুইন
কুমিরের পেটে বাচ্চা সাপ উঠছে বেড়ে। কঙ্কাল এক্সপোর্টার বাজারের উত্তাপে নিচ্ছে
ওম! শ্রমিক জনতা পুড়ছে মুদ্রাস্ফীতির চুল্লিতে—
বাড়ছে অস্থিরতা
কমছে আয়ু
ক্ষমতার খতিয়ান লেপ্টে রয়েছে খরগোশের
রক্তে।
২৬ জুলাই ২৩
*
কথার জালে জড়িয়ে আছে শামুক প্রজাতির
মানুষ। ভেতরে কোনো মুক্তা নেই, মুখে জড়ানো বিষের হাসি।
ম্লান সন্দ্যার পাশে বসে থাকা পাখি। কোথাও
ফেরে না, ডানার কালো ভাঁজে গুজে রাখে মাথা।
নাচের নকশা খুলে মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে, পাখিটি
কোরাস সমৃদ্ধ কান্না এড়িয়ে অবিন্যস্ত পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে। একা
রাতের নিসর্গে, পেঁচার
চিতা জ্বলে। দূরের নদী ভাসে নিভু নিভু কুপিতে। নাবিক, জলের
ছলাকলায় মাতে বেঘোর
বেদনার রঙে রঙ্গিন যে ঠোঁট, কে
ছোঁবে বিষাদ?